চট্টগ্রামে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মিতু কিলিং মিশনের সদস্য ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার রাতে জেলার রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) নুরুল আফসার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিতু হত্যার দীর্ঘ ৫ বছর পর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় স্বামী বাবুল আকতারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। এই মামলার ৭ নম্বর আসামি হলেন সাইদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবুল আক্তারকে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সাথে আগের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কিলিং মিশনের সদস্য মুসা, কালু, অস্ত্র সরবরাহকারী এহেতাশামুল ভোলা, তার সহযোগী মুনীর, মোটর সাইকেল সরবরাহকারী সাইদুল আলম সিকদার ওরফে সাক্কু, শাহজাহান, আনোয়ার এবং ওয়াসিমকে আসামি হিসাবে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাবুল আকতারের নির্দেশে মুসা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার পাশাপাশি কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দিলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তার খোঁজ পায়নি। আরও দু’জন আগেই পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিল। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতার চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের সময় মুসা ছিল তার বিশ্বস্ত সোর্স। মিতু হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার তাকে ফোন এবং এসএমএস দিয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পিবিআই।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তার ৫ দিনের রিমান্ডে
পিবিআই সুত্রে জানা যায়, ‘বাবুল আকতার কক্সবাজার থাকার সময় ২০১৩ সাল থেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। আমরা ওই নারীর নামও জানতে পেরেছি। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ হয়। কলহের জেরে বাকি আসামিদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সে তার স্ত্রীকে খুন করে। মিতু আমাদের পরকীয়ার কথা জানিয়েছিল। আমরা বাবুলের অবিভাবকদের জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো অ্যাকশন নেয়নি।’